top of page
Search

প্রশ্নঃ একজন সুস্থ মানুষ কাজা রোজা না রেখে কি কাফফারাহ দেয়া জায়েজ হবে?

  • Writer: Mohammad Aminul Islam
    Mohammad Aminul Islam
  • Dec 3, 2019
  • 2 min read

Updated: Dec 15, 2019

উত্তরঃ রোজার কাফফারার ক্ষেত্রে মাস’আলাটি বুঝার জন্য আগে দুটি শব্দের অর্থ বুঝা জরুরী। একটি শব্দ হল কাফফারাহ (পাপ/আপরাধ মোচনকারী) আর আরেকটি হল ‘ফিদইয়াহ’ (বিকল্প পন্থা)। রোজার কাফফারাহ (পাপ/আপরাধ মোচনকারী) দিতে হবে তখন যখন রোজা ভঙ্গকারী কোন প্রকার অপরাধের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করবে। যেমন দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করা। এর জন্য কাফফারাহ দিতে হবে ফিদইয়াহ নয়। মানে হল এই কাফফারাতে তিনটি স্তরের প্রথমটি না পারলে দ্বিতীয়টি, দ্বিতীয়টি আদায় করতে অক্ষম হলে তৃতীয়টি আদায় করবে। ১। গোলাম আযাদ, (না পারলে) ২। ৬০ দিন রোজা রাখবে (না পারলে) ৩। ৬০ জন মিসকিন খাওয়াবে।


দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করা ব্যতিত অন্য কোন কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করলে যেমন খাওয়া বা পানাহারের মাধ্যমে রোজা ভাঙলে কাফফারাহ দিতে হবে কি না ঈমামদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী কাফফারাহ দিতে হবে। আর অন্যদের মতে, বিচারক ঐ ব্যক্তির সংশোধনমূলক শাস্তি নির্ধারণ করবে। এই হল কাফফারার বিষয়ে মূল কথা।


এবার আসি ফিদইয়াহ (বিকল্প পন্থা) কার জন্য প্রযোজ্য সে বিষয়ে। যারা অতি বৃদ্ধ/ বৃদ্ধা হওয়ার কারণে রোজা রাখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় (না রামাদান মাসে আর না রামাদানের পরে) তাঁদের জন্য বিপল্প হল প্রতি একটি রোজার জন্য একজন মিসকিনকে (অধিকাংশ আলেমদের মতে) একবেলা/ (হানাফী মাজহাব অনুসারে) দুবেলা খাবার প্রদান করা।


এবার আসি আপনার প্রশ্নের উত্তরে। আর সেটা হল কাজা আদায় না করে কাফফারাহ দেওয়া জায়েজ হবে কিনা এই বিষয়ে। যদি কেউ রামাদান মাসে অসুস্থ থাকে তাহলে রামাদানের পরে ঐ দিনগুলোর শুধু ক্বাযা আদায় করবে। কোন কাফফারাহ লাগবেনা এবং কাফফারাহ দেওয়াও জায়েজ হবে না। অথবা কেউ যদি সফরে থাকে তাহলে রামাদানের পরে সফরের ঐ দিনগুলোর শুধু ক্বাযা আদায় করবে কোন কাফফারাহ লাগবেনা কাফফারাহ দেওয়াও জায়েজ হবে না। এটা হল শুধু ক্বাযা যেখানে কাফফারাহও নেই ফিদইয়াহও নেই। কারন এতে করে সুস্থ লোকজন টাকা দিয়ে রোজা না রাখার সুযোগ করে নিবে।

(আল্লাহু আ’লামু বিস-সাওয়াব)

(রেফারেনসঃ সূরাহ আল-বাকারাহঃ ১৮৩- ১৮৭, হাদীসঃ ইখতিসার সাহীহ আল বুখারী, বা~বু ও জূ বিল কাফফারাহ… ২/৫৮, কিতাবুল ফিকহঃ বাদায়ে’ সানায়ে’ঃ ২/৯৮)


-মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম আযহারী।


নোটঃ- এই ফিদইয়াহ শব্দটি আবার অন্যান্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যেমন কিসাসের ক্ষেত্রে মুক্তিপণ হিসাবে আসে।

ree

 
 
 

Comments


bottom of page